সোমবার ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্পর্কের উন্নয়ন : শিগগিরই শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন

বিশ্ব ডেস্ক   |   বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২ | প্রিন্ট  

সম্পর্কের উন্নয়ন : শিগগিরই শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন

তাইওয়ান ও বাণিজ্য ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের হুঁশিয়ারি ও পাল্টা হুঁশিয়ারিতে সেই উত্তেজনার পারদ যেন বেড়েছে আরও। আর এই পরিস্থিতিতেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

চলতি জুলাই মাসের শেসের দিকে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। বুধবার (২০ জুলাই) একথা নিজেই জানিয়েছেন বাইডেন। খবর রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ম্যাসাচুসেটসের একটি পুরনো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে জলবায়ু-সম্পর্কিত সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখান থেকে ফিরে সাংবাদিকদের ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমি (চীনের) প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে কথা বলবো।’

বুধবার (২০ জুলাই) সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনা নিয়ে সন্দেহও প্রকাশ করেন বাইডেন। আগামী মাসে পেলোসি এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে খবর বের হয়েছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, সামরিক বাহিনী মনে করে যে, এটি (তাইওয়ান সফরে যাওয়া) এখনই ভালো কোনো পরিকল্পনা নয়, তবে আমি জানি না (সম্ভাব্য এই সফরের) বর্তমান অবস্থা কী।’

অবশ্য মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে ‘শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার’ হুমকি আগেই দিয়ে রেখেছে চীন। বেইজিংয়ের দাবি, এই ধরনের সফর ‘চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করবে।’

এদিকে, তাইওয়ানে সম্ভাব্য এই সফর নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ন্যান্সি পেলোসির কার্যালয়। মূলত নিরাপত্তার উদ্বেগ রয়েছে উল্লেখ করে সফরটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কি না সে বিষয়ে মন্তব্য করা হয়নি। অন্যদিকে সম্ভাব্য এই সফরকে ‘কাল্পনিক’ বলে অভিহিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মূলত প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এই সফরের পরিকল্পনার কথা সামনে আনে। একইসঙ্গে হোয়াইট হাউস (এই সফরের বিষয়ে) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

উল্লেখ্য, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং।

গত বছরের অক্টোবরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছিলেন, মূল ভূখণ্ডের সাথে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। এজন্য সামরিক পথে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টিও খোলা রেখেছে বেইজিং।

অন্যদিকে, চীনের প্রদেশ নয়, বরং নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে থাকে তাইওয়ান। চীনা প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের জবাবে সেসময় তাইওয়ান জানায়, দেশের ভবিষ্যৎ তার জনগণের হাতেই থাকবে।

তবে তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে বেইজিংয়ের চেষ্টার কমতি নেই। তাইওয়ান উপত্যাকার চারদিকে সামরিক কর্মকাণ্ড জোরদার করেছে চীন। এমনকি গত বছরের মতো চলতি বছরের শুরু থেকেই তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন (এডিআইজেড) লঙ্ঘন করে আসছে বৈশ্বিক এই পরাশক্তি দেশটি।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান দেশটির মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। এরপর থেকে তাইওয়ান নিজস্ব সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।

 

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:২৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

nypratidin.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর...

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

SunMonTueWedThuFriSat
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আবু তাহের

নির্বাহী সম্পাদক : লাবলু আনসার