সোমবার ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরী লিচুর বাজার ৬০০ কোটি টাকার হাতছানি #3

পদ্মা ডেস্ক   |   শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২ | প্রিন্ট  

দিনাজপুরী লিচুর বাজার ৬০০ কোটি টাকার হাতছানি #3

অনন্য স্বাদের টসটসে দিনাজপুরী লিচু বাজারে বেচাকেনা বেড়েই চলেছে। সবার মন জয় করা দিনাজপুরী লিচু মানেই অন্যরকম মিষ্টি ও রসালো স্বাদ। দিনাজপুরী লিচু গোটা দেশে যার চাহিদা ও বাজার রয়েছে। সারা দেশে কমবেশি লিচু উৎপাদিত হলেও দিনাজপুরের লিচুর চাহিদা বেশি।

বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি, কাঁঠালি, মোজাফফরপুরী লিচু এখন সবার কাছেই প্রিয়।

দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড়ময়দানে বসেছে লিচুর অস্থায়ী বড় বাজার। এছাড়াও কালিতলা মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে বসছে লিচুর বাজার। ব্যবসায়ীরা জেলার বিভিন্ন বাগান আর বাজার থেকে লিচু কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। এখন প্রতিদিন শত শত পরিবহন ছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিসেও দেশের বিভিন্ন স্থানে লিচু যাচ্ছে।
দিনাজপুরে লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। এ মৌসুমে ৩০ হাজার টন লিচু উৎপাদন এবং বেচাকেনা ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।
দিনাজপুর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজিউর রহমান বিপ্লব জানান, বাগানে এবার লিচুর দাম বেশি। বাগান মালিক ও আগাম বাগান কেনা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে লিচু। গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি বলে জানান ফল ব্যবসায়ীরা।

পাইকারি বাজারে প্রতি হাজার মাদ্রাজি লিচু বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। আর বেদানা লিচু প্রতি হাজার ৩৫০০ থেকে ৭০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খুচরা বাজারে প্রতিশত মাদ্রাজি লিচু ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা এবং বোম্বাই-বেদানা লিচু প্রতি শত বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

মাসিমপুরের চাষি ও বিক্রেতা মোসাদ্দেক হোসেন জানান, দিনাজপুরের লিচুর দেশব্যাপী কদর রয়েছে। কিন্তু এ লিচু পাকার পর বেশি দিন রাখা যায় না। আবার গাছ থেকে নামানোর পর কয়েকদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। এতে তাড়াতাড়ি মৌসুম শেষ হয়ে যায়। তাই দীর্ঘদিন লিচু সংরক্ষণে একটি হিমাগার এ অঞ্চলে তৈরি হলে চাষিরা লাভবান হবে এবং সারা বছরই এর স্বাদ নিতে পারবে মানুষ। এছাড়াও লিচু রফতানি যোগ্য হতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, দিনাজপুর জেলায় ৫৪৮১ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার। এর মধ্যে বোম্বাই ৩১৭০ হেক্টর, মাদ্রাজি ১১৬৬ হেক্টর, চায়না থ্রি ৭০২ দশমিক ৫ হেক্টর, বেদানা ২৯৪ দশমিক ৫ হেক্টর, কাঁঠালি ২১ হেক্টর এবং মোজাফফরপুরী লিচু ১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। বসতবাড়ির উঠানসহ বাগানগুলোতে লিচুগাছ রয়েছে ৭ লক্ষাধিক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মো. খালেদুর রহমান জানান, সারা দেশেই দিনাজপুরের লিচুর চাহিদা বেশি। এবার হেক্টর প্রতি ৫ দশমিক ৩ মেট্রিক টন লিচুর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গত বছর দিনাজপুরে ৫৪৮১ হেক্টর জমিতে ২৮ হাজার মেট্রিক টন লিচুর ফলন হয়। যার বাজারমূল্য ছিল ৫৭৫ কোটি টাকা। এবার দিনাজপুরে ৫৬১০ হেক্টর জমিতে লিচু উৎপাদন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৩০ হাজার টন। এতে লিচু ৬০০ কোটি টাকার অধিক বেচা কেনার সম্ভাবনা।

 

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৯:১৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

nypratidin.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর...

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

SunMonTueWedThuFriSat
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আবু তাহের

নির্বাহী সম্পাদক : লাবলু আনসার