শুক্রবার ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাগলের বাচ্চার কান ১৯ ইঞ্চি লম্বা!

বিশ্ব ডেস্ক   |   বুধবার, ২২ জুন ২০২২ | প্রিন্ট  

ছাগলের বাচ্চার কান ১৯ ইঞ্চি লম্বা!

পাকিস্তানের করাচিতে অস্বাভাবিক লম্বা কান নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি ছাগল। নবজাতক শিশু ওই ছাগলের কানের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯ ইঞ্চি (৪৬ সেমি)। অস্বাভাবিক লম্বা এই কানের জন্য বিশ্ব রেকর্ডধারী হিসাবে নাম অন্তর্ভুক্ত হতে পারে ছাগল শাবকটির। মঙ্গলবার (২১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক লম্বা কান নিয়ে গত ৫ জুন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে জন্ম নেয় ছাগলটি। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় সিম্বা। জন্মের পর সিম্বার অস্বাভাবিক লম্বা কান দেখে বিস্মিত হয়ে যান তার মালিক মুহাম্মদ হাসান নারেজো।

সংবাদমাধ্যম বলছে, সিম্বা নামের ছাগলটির কারণে তার মালিক হাসান নারেজো ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছেন। ছাগলের কান এতো লম্বা যে, সে যখন হাঁটে তখন সেগুলো মেঝেতে লেগে থাকে। এছাড়া কান দু’টো সবসময় সিম্বার মুখের উভয় পাশে ঝুলছে এবং বাতাসে দুলছে।

আরেক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ছাগলের বাচ্চার কান অস্বাভাবিক লম্বা হওয়ার কারণ সম্ভবত জিন মিউটেশন বা জেনেটিক কোনো রোগের ফল। যাইহোক, ছাগলটি তার এই কান নিয়ে ভালো আছে বলেই মনে হচ্ছে।

অপরদিকে নারেজোর আশা, লম্বা কান নিয়ে সিম্বা শিগগিরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী হবে।

সিম্বা হলো নুবিয়ান জাতের একটি ছাগল। এই জাতের ছাগলগুলো তার লম্বা কানের জন্য পরিচিত। অবশ্য কান লম্বা হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যও রয়েছে, আর তা হচ্ছে- গরম আবহাওয়ায় লম্বা কান শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

তবে নুবিয়ান জাতের ছাগলের কান যতটা লম্বা হয়ে থাকে, সিম্বার কান তার চেয়েও লম্বা। কিন্তু সৌভাগ্যবশত অস্বাভাবিক লম্বা এই কান সিম্বার জন্য সুবিধাজনক। কারণ বৈচিত্রময় ভূখণ্ডের কারণে পাকিস্তানের করাচির তাপমাত্রা পরিবর্তিত হয়। এমনকি গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি ছাগল পাওয়া যায় কামোরি জাতের। এটি পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে পাওয়া যায়। এছাড়া ছাগল উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হচ্ছে পাকিস্তান।

অবশ্য বিভিন্ন কারণেই পাকিস্তানে ছাগল পালন করা হয়ে থাকে। কিছু জাতের ছাগল মাংসের জন্য লালন-পালন করা হয়, তো কিছু জাতের ছাগল আবার মাংস ও দুধ উভয়ের জন্য পালন করা হয়।

নুবিয়ান জাতের ছাগলগুলো উচ্চ-মানের, উচ্চ-বাটারফ্যাটযুক্ত দুধ উৎপাদন করে থাকে। এই ছাগলের দুধ পান করা যেতে পারে বা আইসক্রিম, দই, পনির এবং মাখন তৈরি করতে ব্যবহারও করা যেতে পারে।

এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ঐতিহ্যের কারণে নুবিয়ান জাতের ছাগলগুলো খুব গরম আবহাওয়ায় বাস করতে পারে এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত ছাগলের তুলনায় তাদের প্রজনন ঋতু থাকে বেশি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:৫৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ জুন ২০২২

nypratidin.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর...

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

SunMonTueWedThuFriSat
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আবু তাহের

নির্বাহী সম্পাদক : লাবলু আনসার