শনিবার ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করাসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান

প্রেসিডেন্ট বাইডেন সমীপে ৬ রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানের চিঠির তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রবাসে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট  

প্রেসিডেন্ট বাইডেন সমীপে ৬ রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানের চিঠির তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রবাসে

রাশিয়া এবং চীনের সাথে শেখ হাসিনার মাখামাখী সহ্য করতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্রের ৬ রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ২৫ মে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সরকারের মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করার জন্য এবং বাংলাদেশের জনগণকে অবাধ ও সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সর্বোত্তম সুযোগ দেয়ার জন্য জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ট্রুপস নিষিদ্ধ করারও পরামর্শও দেয়া হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, চীন এবং রাশিয়ার সান্নিধ্যে এসে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থকেও বিপন্ন করে তোলেছেন এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতি বিপন্ন করতে অন্য মিত্রদেরকেও উৎসাহিত করছেন। স্বাক্ষরকারি কংগ্রেসম্যানরা হলেন পেনসিলভেনিয়ার স্কট পেরী, ভার্জিনিয়ার বব গুড, আলাবামার ব্যারি মোর, টেনেসীর টিম বারসেট, ওহাইয়োর ওয়ারেন ডেভিডসন এবং টেক্সাসের কীথ সেলফ।
শুধুমাত্র রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানরা কেন শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে সরিয়ে দিতে ডেমক্র্যাট-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ধরনা দিচ্ছেন-এ নিয়ে সচেতন প্রবাসীরাও হতভম্ব। কারণ, এই ৬ কংগ্রেসম্যান কখনোই বাংলাদেশ নিয়ে কোন কথা বলেননি কিংবা বাংলাদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোন ইস্যুতেও তাদেরকে সরব হতে দেখা যায়নি। তাদের চিঠিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথাও রয়েছে। শেখ হাসিনার এই আমলে নাকি সংখ্যালঘুদের অনেকেই নির্যাতনে অতীষ্ঠ হয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন-উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লংঘনের শতশত ঘটনা নথিভুক্ত করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ফ্রিডম হাউজ-জাতিসংঘসহ বিভিন্ন এনজিও-এ অভিযোগ করে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নাগরিকদের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত আচরণ সীমা ছাড়িয়ে গেছে, নির্যাতনের পর বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনাও ঘটছে। বিরোধী মতপ্রকাশকারি রাজনীতিকদের গুম এবং সাংবাদিকদের জেলে নেয়া হয়েছে, প্রতিবাদকারিদের নিগৃহিত অথবা হত্যা করা হয়েছে। এভাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে। চিঠিতে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এই কংগ্রেস সদস্যরা। বাংলাদেশের জনগন যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় সেজন্য এ দ্রুত ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে তারা চিঠিতে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশে বিরোধীমতের ওপর দমন-নিপীড়ন প্রসঙ্গে চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে দেশটির লাখো মানুষ। এই সুষ্ঠু নির্বাচনই হাসিনার সরকার পরিবর্তনে তাদের একমাত্র আশা। এই আন্দোলন দমাতে নির্যাতন, গুম এবং বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ডের অন্যতম হাতিয়ার র‌্যাবকে ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার, ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন সংস্থা র‌্যাবকে সরকারের ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বলেও চিঠিতে বিবৃত হয়েছে।

এসব কারণে ইউএস প্রশাসন র‌্যাব’কে ‘জঘন্য মানবাধিকার লংঘনকারি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বছরাধিককাল আগে। র‌্যাবের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ঘটনাও ঘটেছে একইসাথে। এতদসত্বেও শেখ হাসিনার আমলটি বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে,ক্ষেত্রবিশেষে বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে ঐ চিঠিতে। নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি শেখ হাসিনা সরকারের মানবাধিকার লংঘন রোধে কিংবা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষায় কোন প্রভাবই ফেলেনি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কারণে ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে এবং বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারি সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সদস্যগণকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি।
এ ধরনের চিঠির সংবাদে তীব্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে কম্যুনিটিতে। আর নেপথ্যে রয়েছে একাত্তরের ঘাতক হিসেবে মৃত্যুদন্ডে ঝোলা রাজাকারদের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত স্বজনরা বলেও জানা গেছে। এরা কাড়ি কাড়ি ডলার ঢালছেন রাজনীতিকদের পেছনে। যুক্তরাষ্ট্রে ঘাপটি মেরে থাকা এক সংখ্যালঘু নেতাও কলকাঠি নাড়ছেন শেখ হাসিনার সরকারকে উচ্ছেদের অভিপ্রায়ে-এমন গুঞ্জনও রয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের যে অঙ্গিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন তাতে পূর্ণ আস্থা রেখে ইতিমধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বিবৃতি দিয়েছেন। গোটাবিশ্ব তেমন একটি নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এ্যান্তনী ব্লিংকেন। একইসাথে সেই নির্বাচনে যারা মাস্তানী-গুন্ডামি করবে কিংবা ভোট চুরি/কারচুপিতে লিপ্ত হবে অথবা যারা নির্বাচন বর্জনের হুমকিতে নাশকতা চালাবে-তাদেরকে পরিবারশুদ্ধ নিষিদ্ধ করা হবে মার্কিন ভিসার ক্ষেত্রে। সবকিছু ঠিকঠাকমতই এগুনোর মধ্যে রিপাবলিকান ৫ কংগ্রেসম্যানের এ চিঠি সচেতন প্রবাসীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী করেছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে প্রেরিত চিঠি প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলিন্সের অ্যামিরিটাস অধ্যাপক ড. মোস্তফা সারওয়ার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে ছ’জন কংগ্রেসম্যান প্রেরিত একটি চিঠি আমার চোখে পড়েছে। বাংলাদেশের কোন রাজনীতির সাথে আমি জড়িত নই। কিন্তু আমার জন্মভূমি হিসেবে বাংলাদেশের গৌরবে আমি আনন্দের প্লাবনে অবগাহন করি। এমনি এক গৌরব বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। বিশেষ করে জাতিসংঘের তত্বাবধানে বিশ্বের শান্তি রক্ষার মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ত্যাগ, বীরত্ব, এবং দায়িত্ব পালনের প্রশংসনীয় ভূমিকা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ জাতিসংঘের অনেক সদস্যদের সাধুবাদ অর্জন করেছে। আমার জানামতে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দেশের অভ্যন্তরে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করছে না। এটা অবান্তর যে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মানবাধিকার লংঘন করছে। অতএব, এই মহান সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘের তত্বাবধানে বিশ্বের শান্তি রক্ষার মিশন থেকে প্রত্যাহার করা মোটেই সমীচীন নয়। এমন দাবি যারা করেছেন তারা সত্যিকার অর্থে সরেজমিনে খোঁজ-খবর নেয়ারও প্রয়োজনবোধ করেননি। তাহলে তারা এমন কথা উঠাতেন না।
ওয়াশিংটনে সিয়াটলে বসবাসরত অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার এবং সিনিয়র ম্যানেজার ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অভিযাত্রার আলোকে দল-নিরপেক্ষ মতামত/সুপারিশ/মন্তব্যকারি থিঙ্কট্যাংক বিডিআই (বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ)এর প্রতিষ্ঠাতা ড. আশরাফ আলী বলেন, চিঠিটি পড়ে মনে হলো যে, স্বাক্ষরকারি ৬ কংগ্রেসম্যানের ন্যায়-নিষ্ঠতায় ঘাটতি রয়েছে এবং বক্তব্যে অসঙ্গতিও বিরাজ করছে। এই কংগ্রেসম্যানরা কী বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে চান? অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে তারা কী সত্যিকার অর্থে অগ্রসর হওয়া দেখতে চান? তা যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে সেই মনোভাবকে এগিয়ে নিতে সরাসরি এবং সৎ প্রক্রিয়া রয়েছে-যা তারা উপস্থাপন করতে পারতেন। উদাহরণস্বরূপ হাইতি এবং সেন্ট্রাল ও সাউথ আমেরিকার অনেক দেশের নাম বলতে পারি-যারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থাশীল হওয়া সত্বেও গরিবানা হটাতে পারেনি। তারা কঠিন দারিদ্রকে নিত্য সঙ্গী করে দিনাতিপাত করছে। যুক্তরাষ্ট্র এসব দেশের দারিদ্রমুক্তি ঘটাতে চাইলে তা এতদিনে সম্ভব ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র তা করেনি। বুয়েট থেকে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের পর উচ্চ শিক্ষার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর আগে সেখানে কিছুদিন শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ড.আশরাফ আরো উল্লেখ করেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে এই কংগ্রেসম্যানরা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকেই দেখছে, অন্য কিছু নয়। চীন এবং রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশ মধুর সম্পর্ক গড়েছে-এটি তারা পছন্দ করছেন না। এটি আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে তাদের সহ্য হচ্ছে না। ড. আশরাফ বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি কোন ধরনের মানবাধিকার লংঘন বা সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেইনা। তবে মনে হচ্ছে এই চিঠির মাধ্যমে তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন। আর এমন চিঠির জন্যে কেউ বা কোন গোষ্ঠি কংগ্রেসম্যানদেরকে উষ্কে দিয়েছেন। কারণ, চিঠিতে উল্লেখিত কিছু বিষয় আমার বোধগম্যে আসছে না। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র, অথচ চিঠিতে বলা হয়েছে যে, হাসিনা সরকার হিন্দু জনগোষ্ঠির ওপর অত্যাচার করছে। এটা কীভাবে সত্য হতে পারে? ইঞ্জিনিয়ার ড.আশরাফ বিশেষভাবে মার্কিন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ,হাইতি, সেন্ট্রাল আমেরিকা ও সাউথ আমেরিকার এবং আফ্রিকান দেশসমূহের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বার্থে সত্যিকারের সহায়তা দিন। এমন সহায়তায় তারা যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয় এবং উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির অংশিদার হতে পারে। এসব অংশিদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রও তার সম্ভাবনার দিগন্ত প্রসারে সক্ষম হবে।
নিউইয়র্কে বসবাসরত আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ ড. সুফিয়ান এ খন্দকারের মতে রিপাবলিকান ৫ কংগ্রেসম্যান ক্ষেপেছেন চীন আর রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের মধুর সম্পর্কের কারণে। তারা চাচ্ছেন বাংলাদেশ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত থাকবে। কিন্তু সেটি কীভাবে সম্ভব। কারণ, চীন এবং রাশিয়া সবচেয়ে বেশী বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশে। যুক্তরাষ্ট্রের মত বাংলাদেশকেও তার নিজস্ব স্বার্থ দেখতে হচ্ছে, সেটিই করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব-কারো সাথে বৈরতিা নয়’-বঙ্গবন্ধুর এ নীতিতে অবিচল আস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও সম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইকনোমিক জোনে সম্মতি জানিয়েছে বাংলাদেশ। তবে সামরিক কোন কোন রাজি হয়নি, সেটিও জাতীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কারণে। ড. সুফিয়ান খন্দকার উল্লেখ করেন, মহলবিশেষের এমন বৈরী আচরণে কতটা টিকে থাকতে পারবে বাংলাদেশ-সেটি এখন দেখার বিষয়। জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শেখ হাসিনাকে সবকিছু সামাল দিতে হবে বিচক্ষণতার মাধ্যমে।
উপরোক্ত চিঠি প্রসঙ্গে নিউজার্সিস্থ মনমাউথ ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রাইটস লিডারশিপ স্কুল অব সোস্যাল ওয়ার্কের ‘ডক্টর অব সোস্যাল ওয়ার্ক’ ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ও প্রোগ্রাম-ডিরেক্টর ড. গোলাম মাতব্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালিন একটি সরকার গঠন ব্যতিরেকে আর কোনভাবেই বিশ্বের উদ্বেগ-উৎকন্ঠার অবসানের পথ সুগম করতে পারবেন বলে মনে করছি না। ইউরোপিয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার লংঘন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাই, এ অবস্থায় খুবই গ্রহণযোগ্য একটি পদক্ষেপ হবে যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নির্বাচনকালিন সরকার’র মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। এটি তাকে (শেখ হাসিনা) আরো বাহবা দেবে, সম্ভবত: পুনরায় বিজয়ের পথও সুগম করবে, কারণ, সেই নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক বিশ্বও স্বীকৃতি দেবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১:৪২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩

nypratidin.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর...

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

SunMonTueWedThuFriSat
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আবু তাহের

নির্বাহী সম্পাদক : লাবলু আনসার