নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের ২ নভেম্বর সংখ্যার প্রচ্ছদ কাহিনীতে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ‘শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত’ (Sheikh Hasina and the Future of Democracy in Bangladesh) শীর্ষক এ সংবাদে ৭৬ বছর বয়সী এবং বিশ্বে এযাবতকালের সবচেয়ে বেশি সময়ের নারী সরকার প্রধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। গত এক দশকে বাংলাদেশকে গ্রামিন পাট উৎপাদনের দেশ থেকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার বিচক্ষনতাপূর্ণ নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আপসারিত আওয়ামী লীগ সরকারকে দীর্ঘ ২১ বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন শেষে আবারো ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেখ হাসিনা। ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতিতে অবিশ্বাস্য বিচক্ষণতায় বাংলাদেশকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী মুক্ত করার পাশাপাশি সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যাপারটিকেও পরাস্থ করতে সক্ষমতা দিয়েছেন গত ১৪ বছরের শাসনামলে। শুধু তাই নয়, নারী সরকার প্রধান হিসেবে মার্গারেট থ্যাচার এবং ইন্ধিরা গান্ধীর চেয়েও দীর্ঘ সময় যাবত নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে অনুসন্ধানী এই প্রচ্ছদ কাহিনীতে। সামনের জানুয়ারির নির্বাচনেও জনরায়ে পুনরায় ক্ষমতার থাকবেন এমন আশা পোষণ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি নিশ্চিত যে আমার দেশবাসী আমার সাথেই রয়েছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দেশবাসীই আমার প্রধান শক্তি।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯ বার তাকে হত্যার চেষ্টা হয় এবং তিনি বেঁচে গেছেন। এখন বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সমর্থকরা আন্দোলনের নামে নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে। যানবাহন ভাংচুর, টহল পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়া হচ্ছে। পুলিশসহ কয়েকজন নিহত হয়েছে। এজন্যে শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীসহ সারাদেশে। টাইম ম্যাগাজিন চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে। একই দাবিতে তারা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনও বর্জন করছিল। এবারও বর্জনের হুমকি দিয়েছে। যদিও সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকারের অস্তিত্ব নেই।
এ সংবাদে বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি স্থান পেয়েছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ পরিবর্তনের ঘটনাবলি, নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসর এবং সুশীল সমাজের গতিবিধিও বাদ যায়নি। বাইডেনের গত দুটি গণতান্ত্রক সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রসঙ্গ ছাড়াও ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মকান্ড উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ সামনের নির্বাচন ঘিরে বিস্তারিত ঘটনাবলি আলোকপাত করা হয়। এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করার প্রসঙ্গও রয়েছে। এটি প্রিন্ট আকারে শীঘ্রই বাজারে যাবে। এ সংবাদে নির্বাচন নিয়ে অনেকের কৌতুহল মেটানোর প্রয়াস চালানো হলেও কার্যত: অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে নেয়ার কৃতিত্ব শেখ হাসিনাকে প্রদানের প্রয়াস পরিলক্ষিত হয়েছে।
এখানে সবিস্তারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে,এক সময়ের খাদ্যাভাবে থাকা বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করার পর খাদ্য রপ্তানীকারক দেশের তালিকাতেও অন্তর্ভূক্ত করেছেন শেখ হাসিনা। ২০০৬ সালে ৭১ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি ছিল বাংলাদেশের । গত বছর তা বেড়ে ৪৬০ বিলিয়ন ডলানের উন্নীত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। সামাজিক সূচকেও অবিশ্বাস্য রকমের সমৃদ্ধি এসেছে। বলা হয়েছে বাংলাদেশের ৯৮% বালিকা এখন অন্তত: প্রাইমারি শিক্ষায় শিক্ষিত। উচ্চ প্রযুক্তির দেশের তালিকাভুক্ত হবার পথে রয়েছে বাংলাদেশ। চীনের পরিবর্তে স্যামসাংয়ের পণ্য আমদানির প্রক্রিয়ায় রয়েছে দেশটি।

Posted ১২:৪৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩
nypratidin.com | Nabil Nizam







আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
| Sun | Mon | Tue | Wed | Thu | Fri | Sat |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | ||||||
| 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
| 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
| 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
| 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
| 30 | ||||||

