প্রতিদিন ডেস্ক | সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট

পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মন্ত্রীর পর এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হিসেব চেয়ে জনস্বার্থ মামলা হলো হাইকোর্টে। হাইকোর্টে এই মামলাটি করেছেন বিজেপি নেতা আইনজীবীতরুনজ্যোতি তিওয়ারি। আইনজীবীর দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে উল্লেখযোগ্য সম্পত্তিবৃদ্ধি ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের। যদিও এই মামলায় মমতা বা অভিষেক কারও নামই সরাসরি নথিভুক্ত করা হয়নি।
আইনজীবী জানান, বেশ কয়েক বছর আগে তৃণমূলের বর্তমান মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যিনি সারদা চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে জেলে থাকার সময় বলেছিলেন, ‘সারদার সব টাকা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কাছে। আর সেই টাকাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন তারা।’
কুণালের কথার ওপর ভিত্তি করেই হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েছেন বলেই জানান আইনজীবী। মামলায় মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়, ও ভাইয়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যদের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
বামপন্থি দলগুলো ও বিজেপি বেশ কয়েক বছর ধরে দাবি করে আসছে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সম্পদের পরিমাণ। শুধুমাত্র কালীঘাট এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের একটি বাড়ি ছিল, বিগত ১১ বছরে যা বেড়ে হয়েছে ৩২! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি কয়লা পাচার, গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত; তার প্রাসাদসহ বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে কোটি কোটি টাকা।
এর আগেও তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। গত ৮ আগস্ট অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের গিয়েছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অরূপ রায়।
তাদের দাবি, এই মামলার নির্দেশ যেন কার্যকর না করা হয়। মনে করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা, সেই মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হতে পারে।
এদিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলার মেয়ো রোডে সভা থেকে পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা ইস্যুতে মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। বললেন, ওগুলো কি আমার সম্পত্তি? আমরা সবাই আলাদা আলাদা পরিবার। মায়ের দায়িত্ব ছিল আমার। সবার পরবর্তী প্রজন্ম হয়েছে, তারা উপার্জন করেছে। আমার তো সব ডকুমেন্ট দেওয়াই আছে। আমি বলি, এই মামলা ইন্টারন্যাশনাল আদালতে হোক।

Posted ৪:০৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২
nypratidin.com | Sharif Khan







আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
| Sun | Mon | Tue | Wed | Thu | Fri | Sat |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | ||||||
| 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
| 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
| 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
| 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
| 30 | ||||||

