
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৭ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিউইয়র্কে এক নির্বাচনী সমাবেশে বললেন, ‘এখন আমরা সকলেই অনুধাবনে সক্ষম হচ্ছি যে আমাদের গণতন্ত্র মহাঝুঁকির মধ্যে নিপতিত হয়েছে। এহেন অবস্থায় বর্তমান প্রজন্মকে তা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্রকে সংরক্ষণে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র হচ্ছে একটি রাষ্ট্র এগিয়ে চলার চাবিকাঠি।’ ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিউইয়র্কের স্টেট গভর্ণর প্রার্থী ক্যাথি হোকুলের সমর্থনে নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসভিলে অবস্থিত সারাহ লরেন্স কলেজ মিলনায়তনের এ সমাবেশে ক্যাথি হোকুলও ছিলেন।
উল্লেখ্য, ডেমক্র্যাট অধ্যুষিত এলাকা সত্বেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, অর্থনীতির নাজুক অবস্থা, অভিবাসনে হরিবল অবস্থা ইত্যাদি কারণে রিপাবলিকানরা নির্বাচনী ময়দানে তোলকালাম কান্ড শুরু করেছে। ভোটারেরাও ক্ষুব্ধ বাইডেনের রাষ্ট্র পরিচালনায় হ-য-ব-র-ল নীতি অনুসরণের জন্যে। এজন্যেই শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও মাঠে নেমেছেন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে। তারা ডনাল্ড ট্রাম্প এবং রিপাবলিকানদেরকে গণতন্ত্রের শত্রুর এবং মানবতার দুশমন হিসেবে অভিহিত করতেও দ্বিধা করছেন না।
গত নির্বাচনের ফলাফল এখনও যারা মানতে পারেনি তেমন ২৮৯ জন রিপাবলিকান এবার কংগ্রেস ও স্টেট গভর্ণর পদে লড়ছেন। এরা পৃথক পৃথকভাবে গণমাধ্যমে অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সাথে বিতর্কের সময় উল্লেখন করেছেন যে, বিজয়ী হলেই তারা এবারের নির্বাচনী ফলাফল মেনে নেবেন। অর্থাৎ পরাজয়কে তারা মানবেন না। এমন মনোভাব ব্যক্তকারিদের প্রতি ইঙ্গিত করেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং বারাক ওবামা প্রতিটি সমাবেশে গণতন্ত্র মারাত্মক ঝুঁকির মুখে বলে মন্তব্য করছেন। নিউইয়র্ক স্টেট গভর্ণর পদে রিপাবলিকান প্রার্থী লী জেলডিন বর্তমানে কংগ্রেসে রয়েছেন। তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
বাইডেন এ সমাবেশে লী জেলডিনের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘এমন ব্যক্তিরা ভোটারের অধিকারই শুধু কেড়ে নিতে চায় না। ওরা প্রদত্ত ভোট গণনাতেও বিশ্বাসী নন। ওদের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।’ বাইডেন উল্লেখ করেন, আমার সারাজীবনের রাজনীতিতে এমন আচরণ দেখিনি। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে সহিংসতাকে উস্কে দেয়ার মত পরিস্থিতিও স্মরণকালে যুক্তরাষ্ট্রের কোন নির্বাচনেই দেখিনি।
অতি সম্প্রতি কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলসীর বাসায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকেও ট্রাম্পের লেলিয়ে চরমপন্থিদের কাজ বলে মন্তব্য করেন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের সবকটি আসনে (৪৩৫), ইউএস সিনেটের ৩৫ এবং স্টেট গভর্ণরের ৩৬ আসনে ভোট গৃহিত হবে মঙ্গলবার। সর্বশেষ বিভিন্ন জরিপে কংগ্রেস এবং স্টেট গভর্ণর পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। অর্থাৎ কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের আধিপত্য ডেমক্র্যাটরা অটুৃট রাখতে সক্ষম হলেও সিনেটের নেতৃত্ব হারাতে পারে। একইভাবে স্টেট গভর্ণরের দুয়েকটি আসনও হারাতে পারে ডেমক্র্যাটরা। এ অবস্থায় নির্বাচনী ময়দানে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। আগেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকায় বিভিন্ন ভোটন কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। ভোট গ্রহণের সময় মধ্যযুগীয় কায়দায় সহিংসতার আশংকা ব্যক্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে অনেকে সিটিতে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আগের মতোই নির্বাচনী ময়দানে উত্তেজনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন গত কদিন। সবকিছু মিলিয়ে একেবারেই অচেনা এক পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে সারা আমেরিকায়।
Posted ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৭ নভেম্বর ২০২২
nypratidin.com | Nabil Nizam
আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
Sun | Mon | Tue | Wed | Thu | Fri | Sat |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
29 | 30 |