
প্রতিদিন ডেস্ক | শনিবার, ০৪ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনসহ বাড়তি পদক্ষেপ নিয়েছে। ধর্মীয় উপাসনালয় ও ধর্মীয় উৎসবে সম্ভাব্য সহিংসতা ঠেকাতে অব্যাহতভাবে নেওয়া হয় এসব পদক্ষেপ। এরপরও গত বছর বেশ কিছু হামলা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। ২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এমন তথ্য উঠে আসে।
দুই হাজার পৃষ্ঠার বেশি কলেবরের আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ১৬ পৃষ্ঠার একটি পর্যালোচনা রয়েছে। এতে বলা হয়, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন বারবার বলছেন, ভূমি বিরোধের জেরে পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি থেকে তাঁদের উচ্ছেদ ও জমি কেড়ে নেওয়া প্রতিরোধে সরকারের ভূমিকা কার্যকর ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আনুষ্ঠানিকভাবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষ দূত রাশাদ হুসাইন। তারা এবারের প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশ ও অঞ্চলের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এবারের প্রতিবেদনে বেশকিছু দেশের পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কাজ করার বাকি রয়েছে, সেটিও প্রতিবেদনে দুর্ভাগ্যজনকভাবে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হয়, সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হলেও বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সমুন্নত রেখেছে। গত বছরের ১৩ থেকে ২৪ অক্টোবর সহিংসতায় মুসলমান, হিন্দুসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। সরকার হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সহায়তা, অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা এবং ২০ হাজারের বেশি লোকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে গত বছর ধর্মীয় ইস্যুতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ের কথা রয়েছে। এর একটিতে এক প্রকাশককে হত্যার দায়ে ৮ জঙ্গির, বাকি দুটিতে ৫ ও ১৪ জঙ্গির ফাঁসির আদেশের প্রসঙ্গগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তাছাড়া বছরজুড়ে সংখ্যালঘুদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়া, গুজব ছড়িয়ে হামলা, ধর্মীয় কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের তথ্যও তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরজুড়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অব্যাহত ছিল।
অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে পিছু হটা অনেক দেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারগুলোকে অবশ্যই এসব বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ হতে হবে।
Posted ১২:৪৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৪ জুন ২০২২
nypratidin.com | Sharif Khan
আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
Sun | Mon | Tue | Wed | Thu | Fri | Sat |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |