
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন | সোমবার, ২২ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট
সরকার এক লাফে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটারে ৩৪ টাকা (৪২.৫ শতাংশ), পেট্রোল লিটারে ৪৪ টাকা (৫১.১৬ শতাংশ) এবং অকটেন লিটারে ৪৬ টাকা (৫১.৬৯ শতাংশ) বৃদ্ধি করেছে। গত ৫ আগস্ট জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন অ্যাক্টের ২২ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। জ্বালানি তেলের দাম এক ধাপে এত বৃদ্ধির নজির বাংলাদেশে নেই, এমনকি বিশ্বের অন্য কোনো দেশেও নেই। বর্তমান সরকারের এ ধরনের গণবিরোধী ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের জীবনযাত্রায় অসহনীয় ধাক্কা লেগেছে। এমনিতেই দুর্নীতি, ভারসাম্যহীন অর্থনীতি, ব্যাংক ও পুঁজিবাজার ডাকাতি, অর্থ পাচার ও অপশাসনের ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সরকার রিজার্ভ ঘাটতি ও ডলারের মূল্যমান নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমদানি ও রপ্তানিতে ব্যাপক ধস নেমেছে। দেশে বেকারের সংখ্যা এবং দারিদ্র্যের হার বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায়, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশে বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিবহন খাতে খরচ বেড়েছে। ইতোমধ্যে ট্রাক ও বাসভাড়া ২০-৩০ শতাংশ এবং লঞ্চ ভাড়া ৩০-৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। অব্যাহত মূল্যস্ফীতির কারণে মধ্যবিত্ত পরিবারের খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। আর দরিদ্র মানুষ সম্পূর্ণ দিশাহারা। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে কৃষি খাতেও সরাসরি প্রভাব পড়েছে। কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ অসহনীয় পর্যায়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্প খাতেও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে পণ্যের মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক কথায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে দুর্বিষহ প্রভাব পড়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনটি খোঁড়া অজুহাত জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। (১) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিগত ছয় মাসে ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে, যা পূরণের জন্য। (২) ‘রাশিয়া-ইউক্রেন’ যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও (৩) জ্বালানি তেল পাচার রোধ করা। সরকারের এ তিনটি অজুহাত অযৌক্তিক ও মনগড়া। সরকারের তথ্য মোতাবেক দেখা যায়, বিগত আট বছরে বিপিসি মুনাফা করেছে প্রায় ৪৮ হাজার ১২২ কোটি টাকা। বিপিসির সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, গত অর্থবছরে বিপিসি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ১৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি আমানত হিসেবে জমা রেখেছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেল বিক্রি করে বিপিসি বিভিন্ন ব্যাংকে ১৫ হাজার ৮২২ কোটি টাকা নগদ জমা করেছে। গত অর্থবছরে সব মিলিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে বিপিসির জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। আট বছরে বিপিসির মুনাফার অবশিষ্ট অর্থ কোথায় গেল, তা জনগণ জানতে চায়। ধারণা করা হয়, সরকার আইন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্ধৃত অর্থ যেভাবে সরকারের কোষাগারে নিয়েছে, সেভাবে বিপিসির মুনাফার টাকাও সরকারি কোষাগারে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি না করে বিভিন্ন ব্যাংকে বিপিসির জমাকৃত অর্থ এবং সরকারি কোষাগারে বিপিসির যে অর্থ আছে, তা দিয়ে বিপিসির সাময়িক ৮ হাজার কোটি টাকার লোকসান মোকাবিলা করা যেত।
সরকারের প্রদত্ত দ্বিতীয় অজুহাতও সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকে বিশ্বব্যাপী সাময়িকভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হলেও বর্তমানে ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী। এমতাবস্থায়, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন’ যুদ্ধকে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়া আমাদের দেশে বর্তমানে অকটেন ও পেট্রোল আমদানি করতে হয় না। কনডেনসেট থেকে উপজাত হিসেবে দেশেই উৎপাদিত হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তার এক বক্তব্যেও এ কথা বলেছেন। তাহলে কোন যুক্তিতে অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৫১.৫৯ শতাংশ এবং ৫১.১৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলো, তা জনমনে প্রশ্ন উঠছে। সরকারের প্রদত্ত তৃতীয় অজুহাত হিসেবে জ্বালানি তেল পাচার রোধ করার কথা বলা হয়েছে। বিগত ৫-৬ বছর ধরে বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্যের চেয়ে ভারতে ডিজেলের মূল্য বেশি ছিল। কিন্তু পাচারের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই পাচারের অজুহাত দেখিয়ে মূল্যবৃদ্ধি অগ্রহণযোগ্য। আর যদি পাচার হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের।
জ্বালানি তেলে শুল্ক : বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ইচ্ছা করলে জ্বালানি তেলে শুল্ক কমিয়ে বিপিসির সাময়িক লোকসান মোকাবিলা করতে পারত এবং মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো যেত। সরকার জ্বালানি তেল আমদানির ওপর শুল্ক, মূসক ও কর হিসেবে ৩২ থেকে ৩৪ শতাংশ আদায় করে। দেশের অর্থনীতির খারাপ সময়ে সরকার জ্বালানি তেলের কর প্রত্যাহার বা করের হার কমিয়ে দিয়ে বিপিসির সাময়িক লোকসানকে সামাল দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের ওপর প্রকারান্তরে পরোক্ষ কর চাপিয়ে দিয়েছে। এমন বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা কোনোক্রমেই যৌক্তিক নয় এবং গ্রহণযোগ্য নয়।
আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য : সরকার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। ২০১৩ সালে যখন বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের আমদানি মূল্য প্রতি ব্যারেল ৯৪ ডলার ছিল, তখন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে। ২০১৬ সালে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে প্রতি ব্যারেল ৪০ ডলারে নেমে আসে। তখন সরকার শুধু কেরোসিন ও ডিজেলের দাম মাত্র ৩ টাকা কমিয়েছিল। অকটেন ও পেট্রোলসহ অন্যান্য জ্বালানির মূল্য অপরিবর্তিত রেখেছিল। যার ফলে বিপিসি বিগত আট বছরে এত মুনাফা করতে পেরেছিল। বর্তমানে বিশ্ববাজারের অপরিশোধিত তেলের সর্বোচ্চ মূল্য ৯২ ডলার অর্থাৎ লিটার প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ৫৬ থেকে ৫৭ টাকা। শোধন খরচ, সিস্টেম লস ও পরিবহনসহ প্রতি লিটারে খরচ হয় সর্বোচ্চ ৬২ টাকা। বর্তমানে সরকার বিপিসির লভ্যাংশ, শুল্ক, মূসক ও কর নেওয়ার পর ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১১৪ টাকা। সরকার এক লাফে ডিজেল ও কোরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি করে প্রতি লিটারে ৫২ টাকা লাভ করছে কার স্বার্থে? বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার লুটপাটের অর্থনীতি পরিচালনা করে দেশকে যে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তার থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি একটি অপকৌশল মাত্র।
জ্বালানি তেলের আমদানি প্রীতি : বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী সরকারগুলোর সময়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানির জন্য ওপেকভুক্ত তেল উৎপাদনকারী কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বড় পরিসরে সরকার থেকে সরকারের (জিটুজি) পদ্ধতিতে স্থায়ী চুক্তি করা হতো। কিন্তু বর্তমান সরকার সে ব্যবস্থাকে গুরুত্ব না দিয়ে সরকারের বিশেষ সিন্ডিকেটকে বাণিজ্য ও কমিশন লাভের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ জ্বালানি বিদেশের স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে ক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। চিহ্নিত গোষ্ঠীর মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা ও কমিশন বাণিজ্যের কারণে মূলত বিপিসির বর্তমানে লোকসান গুনতে হচ্ছে এবং জনগণকে চড়াদামে তার খেসারত দিতে হচ্ছে।
একই লক্ষ্যে সরকারের আমদানি প্রীতির জন্য দেশের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি না করে এবং নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য অনুসন্ধান কাজে অবহেলা করছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানি এলএনজি ফার্নেস ওয়েল ও ডিজেল আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা ও পারমাণবিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে অতি মুনাফা ও মুনাফার অর্থ পাচার করার সুযোগ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও ভোক্তাদের অর্থে গঠিত ‘গ্যাস উন্নয়ন তহবিল’ থেকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজে খরচ না করে সরকার অন্যায়ভাবে এলএনজি আমদানির জন্য ঋণ দিয়েছে। বিদ্যুৎ সেক্টরে জ্বালানি জোগান দিতে সরকার ব্যাপকভাবে অনিয়ম ও কুইক রেন্টালে অসচ্ছতা ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য ‘দায়মুক্তি আইন’ সংসদে পাস করেছে। সরকার দেশের জ্বালানি সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সক্ষমতা সৃষ্টির প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে সর্বক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি ও লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে অন্ধকারে নিপতিত করেছে।
জ্বালানি আমদানিতে ব্যাঘাত : পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, সরকার রিজার্ভে ঘাটতি ও ডলারের অভাবে জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারছে না। তাই সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে জ্বালানি ব্যবহারে জনগণকে নিরুৎসাহিত করা এবং জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বদ্ধ করে দিয়ে দেশে ব্যাপকভাবে লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারের ভারসাম্যহীন অর্থনীতি পরিচালনার ফলে দেশের রিজার্ভসহ সামষ্টিক অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। দেশের মানুষকে রিজার্ভসহ সার্বিক অর্থনীতি ভালো আছে বলে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আইএমএফ বাংলাদেশের রিজার্ভের হিসাব নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে বিবৃতি দিয়েছে। সব ঠিক আছে বলে সরকারের দাবি যদি সঠিক হয় তাহলে সরকার ঋণের ঝুলি নিয়ে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের দরজায় ধরনা দিচ্ছে কেন?
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রকৃত উদ্দেশ্য : বর্তমান সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে রাজস্ব আয়ের চেয়ে ক্রমাগতভাবে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের সুদ, জনপ্রসাশনে অতিরিক্ত ব্যয়, মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি ও পাচারের কারণে দেশের সার্বিক অর্থনীতি বর্তমানে বিপর্যস্ত। এমতাবস্থায়, সরকার দিশাহারা হয়ে আয় বাড়ানোর জন্যই জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি করে পক্ষান্তরে জনগণের ওপর পরোক্ষ কর আরোপ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের অপর একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিং করে জ্বালানি আমদানি হ্রাস করে রিজার্ভ ও ডলারের সাশ্রয় করা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জ্বালানি তেলের মৃল্যবৃদ্ধিতে সরকারের টাকায় রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। রিজার্ভ বা ডলারের আয় বৃদ্ধি হবে না।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের সর্বগ্রাসী বিপর্যয় থেকে উত্তোরণের জন্য নিম্নে বর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
(ক) অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে পূর্ব অবস্থায় মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
(খ) জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ‘জিটুজি’ পদ্ধতিতে ওপেক ও তেলসমৃদ্ধ দেশের সঙ্গে অপরিশোধিত তেল ক্রয়ের জন্য স্থায়ী চুক্তি করতে হবে।
(গ) বিদেশের স্পট মার্কেট থেকে তেল ক্রয় নিরুৎসাহিত করতে হবে।
(ঘ) বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে যে পরিমাণ দুর্নীতি ও চুরি হচ্ছে, তা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করতে হবে।
(ঙ) সরকারের প্রতিটি প্রকল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে অর্থ সাশ্রয় ও লোকসান সমন্বয় করতে হবে।
(চ) লোডশেডিংকে অনতিবিলম্বে শূন্যের কোঠায় এনে দেশবাসীকে দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করতে হবে।
(ছ) ব্যাংক ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করে আমূল সংস্কার সাধন করতে হবে। অর্থ পাচার ও ব্যাংকের ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(জ) দেশের রিজার্ভ সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত না করে রিজার্ভ কাক্সিক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উপরোক্ত প্রস্তাবাবলির আলোকে বিদ্যমান সংকট সমাধানে ব্যর্থ হলে, দেশ ও জাতিকে রক্ষাকল্পে অনতিবিলম্বে জনবিচ্ছিন্ন ও অগণতান্ত্রিক সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদকে বাতিল করতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তাহলেই সরকার সৃষ্ট অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক যে বিপর্যয় ঘটেছে, তা থেকে দেশ ও জাতি মুক্তি পাবে।
লেখক : সাবেক মন্ত্রী, সিনিয়র সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি।
Posted ১২:১৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২২ আগস্ট ২০২২
nypratidin.com | Sharif Khan
আর্কাইভ ক্যালেন্ডার
Sun | Mon | Tue | Wed | Thu | Fri | Sat |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
29 | 30 |